সম্পদ হচ্ছে আমাদের সকল চাহিদা পূরণের হাতিয়ার। গৃহ ব্যবস্থাপনার সংজ্ঞা থেকে আমরা জেনেছি যে, পরিবারের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সম্পদের সঠিক ব্যবহার একান্ত প্রয়োজন। লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আমাদের নানাবিধ কাজ করতে হয়। প্রতিটি কাজ করতে আমাদের কোনো না কোনো সম্পদ ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। সম্পদ বলতে আমরা সাধারণত বুঝি অর্থ, জমিজমা, বাড়িঘর, গহনা ইত্যাদি। কিন্তু এসবের বাইরেও আমাদের আরও অনেক সম্পদ আছে। যেমন- শক্তি, দক্ষতা, জ্ঞান, বুদ্ধি, মনোভাব ইত্যাদি। এগুলো যে সম্পদ সে সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই কোনো ধারণা নাই। অথচ মানুষের এই গুণগুলো তার সম্পদের ভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করে। উল্লিখিত দুই ধরনের সম্পদই আমাদের গৃহ সম্পদ হিসাবে পরিচিত।
গৃহ ব্যবস্থাপনায় গৃহ সম্পদের ব্যবহার অপরিহার্য। গৃহ সম্পদ ছাড়া পরিবারের কোনো সিদ্ধান্তই কার্যকর করা সম্ভব নয়। কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এই গৃহ সম্পদসমূহ সুষ্ঠু পরিকল্পনা, সংগঠন, নিয়ন্ত্রণ ও মূল্যায়নের মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়।
সকল সম্পদের কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন-
সম্পদের উপযোগ : উপযোগ হচ্ছে দ্রব্যের সেই গুণ যা দ্বারা মানুষের চাহিদা পূরণ সম্ভব হয়। সকল সম্পদেরই কম-বেশি উপযোগিতা রয়েছে। অর্থাৎ সকল সম্পদের প্রয়োজন মেটানোর ক্ষমতা আছে। তবে সম্পদভেদে এর তারতম্য দেখা যায়। টেবিল, চেয়ার ব্যবহার করে আমরা পড়া-লেখা করি, তাই এগুলো সম্পদ।
সম্পদের সীমাবদ্ধতা সম্পদের আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো সকল সম্পদই সীমিত। যেমন-একজন ব্যক্তির সারা দিন-রাত্রি মিলিয়ে চব্বিশ ঘণ্টা সময়, যা একেবারেই সীমিত। আবার একটা পরিবারের সীমিত আয় বা সীমিত জায়গা ইত্যাদি সম্পদের সীমাবদ্ধতা নির্দেশ করে।
সম্পদের ব্যবহার পরস্পর সম্পর্কযুক্ত ও নির্ভরশীল : যে কোনো লক্ষ্য অর্জনের জন্য একক কোনো সম্পদের ব্যবহার না করে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিভিন্নরকম সম্পদ একত্রে প্রয়োগ করা হয়। যে কোনো কাজ করতে গেলে অর্থ, সময়, শক্তি, দক্ষতা ইত্যাদি একাধিক সম্পদের প্রয়োজন হয়। পরস্পর সম্পর্কযুক্ত সম্পদের যৌথ ব্যবহারে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয়।
সকল সম্পদই ক্ষমতাধীন সম্পদকে ব্যক্তির মালিকানাধীনে বা আয়ত্বে থাকতে হবে। যদি কোনো 1 দ্রব্য নিজের ক্ষমতাধীনে না থাকে বা একে যদি কোনো অধিকার দ্বারা কাজে লাগানো না যায়, তবে তা সম্পদ নয়।
গৃহ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার
কোনো কোনো সম্পদ হস্তান্তর করা যায়। যেমন-বাড়িঘর, অর্থ, জমিজমা, বাড়ির যাবতীয় আসবাবপত্র, সরঞ্জাম
ইত্যাদি। কিন্তু বুদ্ধিমত্তা, শক্তি, সামর্থ্য, দক্ষতা, সময় ইত্যাদি সম্পদগুলো কখনো হস্তান্তর করা যায় না। কারণ
এগুলো মানুষের নিজস্ব অন্তর্নিহিত গুণাবলি। সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও কিছু কিছু সম্পদ চর্চা বা
অনুশীলনের দ্বারা বৃদ্ধি করা যায়। যেমন- জ্ঞান, দক্ষতা, শক্তি ইত্যাদি। আয় বাড়ানোর বিভিন্ন উপায় অবলম্বন
করে পরিবারের অর্থ সম্পদও বাড়ানো যায়।
গৃহ সম্পদের শ্রেণিবিভাগ
প্রত্যেক মানুষই কম-বেশি বিভিন্ন রকম সম্পদের অধিকারী। যেহেতু সম্পদ ছাড়া কোনো লক্ষ্য অর্জন সম্ভব
না, তাই প্রত্যেক মানুষ তার কিছু কিছু সম্পদের অধিকার এবং তা বৃদ্ধির ব্যাপারে সচেতন। যেমন-অর্থ,
জমিজমা ইত্যাদি। কিন্তু সম্পনের ধরন, পরিমাণ ইত্যাদি সম্পর্কে অনেকের সঠিক ধারণার অভাব রয়েছে।
ফলে অচেনা, অজানা সম্পদগুলো ব্যবহার করতে না পারায় অনেকে লক্ষ্য অর্জন করতে পারে না। গৃহ
ব্যবস্থাপনায় আমরা যা কিছু লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যবহার করি তাই সম্পদ হিসাবে পরিচিত। গৃহ সম্পদের
শ্রেণিবিভাগের মাধ্যমে আমরা সবরকম সম্পদ সম্বন্ধে জানতে পারি এবং লক্ষ্য অর্জনে সেগুলোর সঠিক
ব্যবহার করতে পারি। গৃহ সম্পদকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
মানবীয় সম্পদ
যে কোনো পরিবারে একাধিক সদস্য বাস করে। লক্ষ করলে দেখা যাবে, তারা অনেকে অনেকরকম গুণের
অধিকারী। তাদের জ্ঞান, দক্ষতা, বুদ্ধি, শক্তি, অগ্রহ, মনোভাব ইত্যাদি গুণগুলো মানবীয় সম্পদ হিসাবে
চিহ্নিত। এ সম্পদগুলোকে কস্তুগত সম্পদের মতো দেখা বা পরিমাপ করা যায় না। অথচ এগুলোর ব্যবহার
দ্বারা অনেক লক্ষ্য অর্জন করা যায়। মানবীয় সম্পদগুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে আমরা নিজেদের ও
পরিবারের অনেক উন্নয়ন ঘটাতে পারি।
অমানবীয় বা বস্তুগত সম্পদ
আমাদের বাড়ি-ঘর, জমি-জমা, অর্থ, গৃহের যাবতীয় সরঞ্জাম, আসবাবপত্র, গয়না, সামাজিক সুবিধাদি সবই
বস্তুগত সম্পদ। এ সম্পদগুলো দেখা যায়, পরিমাপ করা যায়। এ সম্পদগুলোর দ্বারা আমরা অনেক চাহিদা
পূরণ করি। কস্তুগত সম্পদের মধ্যে অর্থ অর্থাৎ টাকা-পয়সা সবচেয়ে মূল্যবান এবং কার্যকর সম্পদ। কারণ
অর্থের বিনিময়ে আমরা অন্য বস্তুগত সম্পদগুলো সংগ্রহ করি।
গার্হস্থ্য বিজ্ঞান
পরিবারের লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য মানবীয় ও বস্তুগত উভয় সম্পদই সম্মিলিতভাবে ব্যবহার করা হয়। সব
সম্পদই যেহেতু মূল্যবান, তাই এগুলোর ব্যবহারে আমাদের সচেতন হতে হবে। সম্পদের সদ্ব্যবহার দ্বারা
আমরা অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি। পরিকল্পনার মাধ্যমে সীমিত সম্পদ ব্যবহার করেও আমরা সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি
লাভ করতে পারি।
লক্ষ্যকে সামনে রেখে যে কোনো কাজ করতে গেলে আমাদের একই সাথে সময় ও শক্তি দুটি সম্পদ ব্যবহার
করতে হয়। তাই আমরা এখন একসঙ্গে দুটি সম্পদের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করব।
সময় পরিকল্পনা
মানুষের জীবনে সময় এমনই এক সম্পদ, যা সবার জন্য সমান এবং একেবারেই সীমিত। এই সীমিত
সম্পদের মধ্যে যে ব্যক্তি যত বেশি অর্থবহ কাজ দিয়ে নিজেকে সময়ের সাথে সম্পৃক্ত করতে পারবে, জীবনে
সে তত বেশি সফলকাম হবে। সময়কে যথাযথভাবে ব্যবহার করে মানুষ ব্যক্তিগত, অর্থনৈতিক ও
সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। প্রতিদিন আমাদের জন্য চব্বিশ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ রয়েছে।
কোনো অবস্থাতেই একে বাড়ানো সম্ভব নয় অথচ চাহিদা অনুযায়ী আমাদের অনেক কাজ করার থাকে। সে
কারণেই সময়ের সদ্ব্যবহারের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য হবে কম সময় ব্যয় করে বেশি
কাজ করা এবং সময়ের অপচয় না করা। আর সেজন্যই আমাদের সময়ের পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। একদিনে
আমরা কী কী কাজ করব, কখন করব, নির্দিষ্ট কাজে কতটুকু সময় ব্যয় করব ইত্যাদির সমন্বয়ে একটি
লিখিত পরিকল্পনা বা সময় তালিকা প্রণয়ন করা হয়।
সময়-তালিকার প্রয়োজনীয়তা
করণীয় কাজ সম্পর্কে ধারণা হয়। কোন কাজগুলো বেশি এবং কোনগুলো কম প্রয়োজনীয় সে
সম্বন্ধে সঠিক ধারণা লাভ করা যায়।
সময়মতো কাজ করার অভ্যাস গড়ে উঠে। কাজের সময় নির্ধারিত থাকে বলেই সময়ের কাজ
সময়ে করার অভ্যাস গড়ে উঠে।
প্রতিটা কাজে কতটুকু সময় ব্যয় হয়, তার ধারণা জন্যে।
কাজের দক্ষতা ও গতিশীলতা বাড়ে। সময় তালিকা অনুসরণ করলে সময়মতো কাজ শেষ হয়ে
যায়। বাড়তি সময়ে বিভিন্নরকম সৃজনশীল কাজের সুযোগ পাওয়া যায়।
• বিশ্রাম, অবসর ও বিনোদন করা সম্ভব হয়। কারণ সময় তালিকায় কাজ, বিশ্রাম ও অবসর
বিনোদনের ব্যবস্থা থাকে।
গৃহ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার
ছোটবেলা থেকেই আমাদের সবারই সময়ের প্রতি যত্নবান হওয়া দরকার। সময়মতো সব কাজ করলে কাজ
জমে যায় না। ফলে প্রয়োজনীয় কাজগুলো সহজেই সম্পন্ন করা যায়। যেমন- ছাত্রছাত্রীরা যদি প্রতিদিনের
পড়ালেখা সময়মতো সম্পন্ন করে, তাহলে সে খুব সহজেই কৃতকার্য হতে পারবে। আর যে সময়মতো
পড়ালেখা করে না, পরীক্ষার সময় পড়া তার কাছে বোঝা মনে হবে। সময়মতো পড়ালেখা না করার জন্য
তখন এই সমস্যা তৈরি হবে। তাইতো একটা প্রচলিত বচন আছে যে, "সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ
সময় তালিকা প্রণয়নে বিবেচ্য বিষয়
সময় তালিকা করার সময় কিছু বিষয় বিবেচনায় আনতে হয়। যেমন-
• দৈনিক করণীয় কাজগুলো নির্ধারণ করতে হবে।
গুরুত্ব অনুসারে কাজের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
যৌথভাবে কাজ করতে হলে, অন্যের সুবিধা-অসুবিধার দিকে লক্ষ রাখতে হবে।
সময় তালিকায় কাজের সময়, বিশ্রাম, ঘুম ও অবসর সময় রাখতে হবে।
একটা কঠিন বা ভারী কাজের পর হালকা কাজ বা বিশ্রাম দিতে হবে।
সময়-তালিকা নমনীয় হতে হবে, যাতে প্রয়োজনে রদবদল করা যায়।
শক্তি পরিকল্পনা
অর্থ ও সময়ের মতো শক্তিও পরিবারের একটি অন্যতম সম্পদ। মানবীয় এ সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের ফলে
পরিবারের অনেক লক্ষ্য অর্জিত হয়। ব্যক্তিবিশেষে শক্তির তারতম্য ঘটে। শক্তির সদ্ব্যবহারের দিকে সকলের
যত্নবান হওয়া উচিত। কোনো একটি কাজ এমনভাবে করতে হবে, যাতে সে কাজে কম শক্তি ব্যবহার হয়।
তাহলেই আমাদের সীমিত শক্তি দিয়েও অনেক কাজ করতে পারব। শক্তিকে ইচ্ছামতো ব্যবহার করলে, তা
তাড়াতাড়ি ক্ষয় হয়ে যায়। ফলে কাজে অনীহা, ক্লান্তি ও বিরক্তির সৃষ্টি হয়। তাই শক্তির সদ্ব্যবহারের জন্য
পরিকল্পনা প্রয়োজন। এর ফলে শক্তির অপচয় রোধ করা যায়। শক্তির যথাযথ ব্যবহারের জন্য যে পরিকল্পনা
করা হয়, সেখানে কিছু বিষয় বিবেচনায় আনতে হবে-
সারাদিনের একটা কর্ম-তালিকা করতে হবে। যেখানে প্রয়োজনীয় কাজগুলো সময় অনুযায়ী সাজানো
থাকবে।
কাজ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। কোন কাজে কেমন শক্তি লাগে, কীভাবে সহজে কাজটা
করা যায় সে দিকে নজর দিতে হবে।
ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী কাজ ভাগ করে দিলে আগ্রহ ও আনন্দের সঙ্গে কাজটা সমাপ্ত করা
যায়।
গার্হস্থ্য বিজ্ঞান
-বয়স অনুযায়ী কাজ ভাগ করতে হবে। সব বয়সে কাজ করার সামর্থ্য একরকম না, সেটা
বিবেচনায় রাখতে হবে।
-একই সময়ে কেবল একটি কাজ হাতে নিতে হবে।
কাজটি শেষ হবার পর যে মানসিক তৃপ্তি আসে, তা
কাজের স্পৃহা বাড়িয়ে দেয়।
-কাজের সময় দুই হাতই ব্যবহার করতে হয়।
তাছাড়া সঠিক দেহভঙ্গি বজায় রেখে কাজ করতে
হয়। যেমন- ঘর বসে না মুছে দাঁড়িয়ে মুছলে শক্তি
কম খরচ হয়।
-ভারী কাজের পর বিশ্রাম বা হালকা কাজ রাখতে
হয়।
-কাজ সহজকরণ এবং শ্রমলাঘরের বিভিন্ন উপায়।
অবলম্বন করে শক্তির সদ্ব্যবহার করা যায়।
কাজ সহজকরণ ও শ্রমলাঘবের বিভিন্ন উপায় হলো-.
-সময় পরিকল্পনা করা প্রতিদিনের কাজের একটা তালিকা থাকবে, যা অনুসরণ করে অনায়াসে
কাজগুলো করা যায়।
-বাড়ির সঠিক নকশা করা রান্নাঘরের পাশে খাবার ঘর থাকলে, হাঁটাচলায় শক্তি কম খরচ হবে।
-শ্রম বিভাজন করা পরিবারে কাজগুলো বয়স, দক্ষতা, পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন সদস্যদের মধ্যে
ভাগ করে দিলে, একজনের উপর সব কাজের চাপ পড়ে না।
-কাজের উপযুক্ত স্থানে সরঞ্জামাদি সঠিকভাবে রাখা - প্রত্যেকটি কাজ তার নির্ধারিত স্থানে করলে
শক্তির অপচয় হয় না। একটা কাজের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো সঠিক স্থানে রাখলে সহজে, কম শ্রমে
কাজ করা যায়।
বিভিন্ন শ্রমলাঘব সাজসরঞ্জামের ব্যবহার- গৃহে ওয়াশিং মেশিন, প্রেসার কুকার, রাইস কুকার, মাইক্রো ওয়েভ ওভেন, বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি ইত্যাদি ব্যবহার করলে সময় ও শক্তির সাশ্রয় হয়।
অর্থ পরিবারের একটি অন্যতম ও প্রধান কস্তুগত সম্পদ। প্রতিটি পরিবারে কম-বেশি অর্থ বা টাকা-পয়সা আছে। অন্যান্য সম্পদের মতো অর্থ সম্পদও অত্যন্ত সীমিত। এই সীমিত অর্থ দ্বারাই পরিবারের সব ব্যয়ভার মেটানো হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন উপায়ে এই অর্থ উপার্জন করে থাকে। আমাদের চাহিদা অনেক, কিন্তু সেই তুলনায় অর্থ খুবই সীমিত। সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে অর্থ ব্যয় করতে পারলে আমাদের চাহিদাগুলো পূরণ হওয়া সম্ভব এবং অর্থের অপচয় হয় না।
অর্থ পরিকল্পনা করতে হলে পরিবারের মোট আয়ের পরিমাণ এবং ব্যয় সম্পর্কে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। পরিকল্পনা না থাকলে অতি প্রয়োজনীয় চাহিদাগুলো পূরণ নাও হতে পারে। পরিবারের লক্ষ্যসমূহের প্রতি দৃষ্টি রেখে এমনভাবে অর্থ ব্যয় করতে হবে, যাতে তুলনামূলকভাবে অধিক প্রয়োজনগুলো আগে পূরণ করা যায়।
অর্থ পরিকল্পনার প্রধান কৌশল হলো বাজেট। পরিবারের লক্ষ্যসমূহ অর্জন করার জন্য সীমিত অর্থের ভবিষ্যৎ খরচের পরিকল্পনাই হচ্ছে বাজেট। সহজ করে বলা যায়, বাজেট হচ্ছে অর্থ ব্যয়ের পূর্ব পরিকল্পনা।
বাজেট করার প্রয়োজনীয়তা-
-বাজেট করলে পরিবারের আয়-ব্যয় সম্বন্ধে সঠিক ধারণা হয়।
-আয় ও ব্যয়ের মধ্যে সমতা রক্ষা করা যায়।
-বাজেটে সঞ্চয়ের খাত থাকাতে, পরিবার সঞ্চয় করতে পারে।
-বাজেটের সাহায্যে পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ চাহিদাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পূরণ করা সম্ভব।
-বাজেট অর্থের অপচয় রোধ করে, সচ্ছলতা আনতে সাহায্য করে।
পারিবারিক বাজেট তৈরির নিয়ম
পরিবারের আয়ের ভারতম্যের জন্য বাজেট বিভিন্নরকম হতে পারে। যেমন- দৈনিক বাজেট, মাসিক বাজেট ইত্যাদি। অর্থ পরিকল্পনা করতে হলে মূল তিনটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে-
প্রথমত: উদ্দেশ্য বা লক্ষ্যের ভিত্তিতে আমাদের চাহিদা তৈরি হয়। তাই অর্থ পরিকল্পনার সময় আগে লক্ষ্য
স্থির করে নিতে হয়।
দ্বিতীয়ত: পরিবারের উপার্জনকারী ব্যক্তিদের অর্জিত মোট আয় নিরূপণ করতে হবে। বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত অর্থগুলোকে এক সাথে যোগ করে পরিবারের আয়কৃত অর্থ সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে।
তৃতীয়ত: পরিবারের ব্যয়ের বিভিন্ন খাতগুলো নির্ধারণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে খাতগুলো সাজাতে হবে। যেমন- খাদ্য, বত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, সঞ্চয়, চিত্তবিনোদন ইত্যাদি ব্যয়ের খাতগুলো ঠিক করে, কোন খাতে কত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে, তা স্থির করতে হবে। প্রত্যেক খাতের কিছু উপখাতও আছে। খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ সেই উপখাতগুলোতেও বরাদ্দ দিতে হবে।
পরিবারের সকল সদস্যের প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনায় এনে অর্থ পরিকল্পনা করতে হবে। অন্যান্য পরিকল্পনার মতো অর্থ পরিকল্পনার সময় পরিবারের সকল সদস্যের উপস্থিতি ও তাদের মতামত বা পছন্দ অপছন্দের গুরুত্ব দিতে হবে। পরিকল্পনার মাধ্যমে অর্থ ব্যয় করলে পরিবারে অর্থ সংকট দেখা দেবে না এবং যে কোনো পরিস্থিতি সহজেই মোকাবেলা করতে পারবে।
অর্থ ব্যয়ের তালিকা তৈরি করার সময় বিভিন্ন দ্রব্যের বাজারদরের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। কোনো অবস্থাতেই প্রাপ্ত অর্থের চেয়ে বেশি ব্যয়ের পরিকল্পনা করা যাবে না। দরকার হলে কম প্রয়োজনীয় চাহিদাগুলো বাদ দিতে। হতে পারে।
বাজেট তৈরি হয়ে গেলে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। বাস্তবায়ন করতে না পারলে পরিকল্পনা কোনো কাজে আসবে না। বাজেট বাস্তবায়নের দ্বারা অর্থ ব্যয়ের সদভ্যাস গড়ে উঠতে পারে।
অবশেষে মূল্যায়ন করে দেখতে হবে, বাজেটটি কতটুকু ফলপ্রসু হলো। পরিকল্পনাটি সফল না হলে, তার কারণ খুঁজে সংশোধনের মাধ্যমে পরবর্তীতে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। বাজেটটি যেন সুষম হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। আয় ও ব্যয়ের অর্থ সমানভাবে মিলে গেলে, তাকে সুষম
বাজেট বলে। যেমন- কোনো পরিবারের আর যদি মাসে বিশ হাজার টাকা হয় এবং বাজেটের খাতগুলোতে যদি ঐ টাকায় সংকুলান হয়ে যায় তাহলে সেটা সুষম বাজেট। আর বায় যদি আয়ের চেয়ে বেশি হয়, , সেটা হবে ঘাটতি বাজেট ঘাটতি বাজেট আমাদের কখনোই কাম্য নয়। এরকম বাজেটে পরিবারে প্রতিমাসে 1 ঋণের বোঝা বাড়ে।
সবচেয়ে ভালো হচ্ছে উদ্বৃত্ত বাজেট। এই বাজেটে পরিবারের সব খরচ মেটাবার পরও কিছু অর্থ উদ্বৃত্ত থেকে যায়। এই উদ্বৃত্ত অর্থ দিয়ে আরও চাহিদা পূরণ করা যায়। আবার তা সঞ্চয় করে রাখলে ভবিষ্যতে কাজে লাগে।
আমাদের প্রতিটি গৃহে এমন কতকগুলো নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্র থাকে, যা পরিবারের যৌথ সম্পদ হিসাবে বিবেচিত হয়। পরিবারের সব সদস্য যৌথভাবে সে সম্পদগুলো ব্যবহার করে থাকে। যেমন- বাতি, বৈদ্যুতিক পাখা, খবরের কাগজ, টেলিফোন, টয়লেট, কলতলা, কুয়ার পানি, আঙিনা ইত্যাদি। যৌথ সম্পদগুলোর ব্যবহারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। কারণ ব্যবহারে সামান্য অসতর্কতা বা অবহেলার ফলে সদস্যদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি ও সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।
পারিবারিক যৌথ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের লক্ষ্যে সদস্যদের ব্যক্তিগত স্বার্থত্যাগের জন্য মানসিক প্রস্তুতি
থাকতে হবে। সমঝোতা ও সহনশীলতার মাধ্যমে যৌথ সম্পদগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করে, পরিবারের
সকলের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখা যায়।
বাতি-কাজের সুবিধার জন্য আমরা গৃহের প্রতিটি কক্ষে আলো ব্যবহার করে থাকি। কাজ অনুযায়ী বাতির
তীব্রতা কম-বেশি হয়ে থাকে। এক কক্ষে দুই-তিনজন সদস্য থাকলে প্রত্যেকের বিভিন্নরকম কাজ থাকতে পারে।
কিন্তু সবার জন্য পৃথক আলোর ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। যেমন- সাধারণত শোবার ঘর আমরা পড়া ও ঘুমের জন্য
ব্যবহার করি। একই ঘরে একজন যদি তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ে, তবে আরেকজন টেবিলল্যাম্প ব্যবহার করে পড়তে
পারে। তাহলে প্রত্যেকের জন্য সুবিধাজনক পরিবেশ তৈরি হবে। যেসব কাজ একই আলোতে করা যায়, তার
জন্য আলাদা আলোর ব্যবহার করলে অর্থের অপচয় হয়। কাজ শেষে বাতি নিভিয়ে ফেলার অভ্যাস প্রত্যেক
সদস্যের থাকতে হবে, যাতে এ সম্পদের অপচয় না হয়।
বৈদ্যুতিক পাখা- একটি কক্ষে একাধিক সদস্য থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে কক্ষের একটি পাখায় সব সদস্যের
প্রয়োজনীয় বাতাসের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। প্রত্যেকের সুবিধা-অসুবিধা ও প্রয়োজন বুঝে এ পাখা ব্যবহার
করতে হবে। যার বেশি বাতাসের প্রয়োজন, সে পাখার সোজাসুজি নিচে থাকবে। আর যার কম বাতাসের
প্রয়োজন, সে পাখা থেকে দূরে থাকতে পারে। অসুস্থ কোনো সদস্যের পাখার বেশি বাতাসে ক্ষতি হলে,
আস্তে পাখা চালাতে হবে। অর্থাৎ পরিস্থিতি বুঝে সমঝোতার সাথে পাখা ব্যবহার করতে হবে।
খবরের কাগজ- খবরের কাগজের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের খবর পাওয়া যায়। খবরের কাগজ সবাইকে পড়ার
সুযোগ দিতে হবে। বাড়িতে বড়রা প্রথমে খবরের কাগজ পড়ে থাকেন। বিশেষ করে যারা অফিসে বা বাইরে
যাবেন, তাদের আগে পড়ার সুযোগ দিতে হয়। এরপর ছোটরা সমবেতভাবে বা পর্যায়ক্রমে পড়তে পারে।
অনেক সময় দেখা যায় খবরের কাগজে কোনো উত্তেজনাপূর্ণ খবর বের হয়েছে, যা জানার জন্য সবাই উদ্গ্রীব
থাকে। সে ক্ষেত্রে একজন জোরে পড়লে, অনারাও শুনতে পারে। এতে সবাই মিলিতভাবে আনন্দ পেতে
পারে। আবার নিজেদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে বিভিন্ন পৃষ্ঠা ভাগ ও অদলবদল করে কয়েকজন একই
সময়ে পড়তে পারে। পড়া শেষে সব পৃষ্ঠা পর পর সাজিয়ে ভাজ করে নির্দিষ্ট স্থানে তারিখ অনুসারে সাজিয়ে
রাখতে হয়।
টেলিফোন- যোগাযোগের অন্যতম সহজ মাধ্যম হচ্ছে টেলিফোন। টেলিফোন ব্যবহারের সময় মনে রাখতে
হবে যে, অকারণে অতিরিক্ত কথা বলে যেন সেটটি আটকে না রাখা হয়। একজন অনেকক্ষণ কথা বললে,
অন্যের জরুরি যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটতে পারে। প্রয়োজনীয় খবরের আদান-প্রদান হয়ে গেলেই,
রিসিভারটি সঠিকভাবে টেলিফোন সেটের উপর নামিয়ে রাখতে হয়। প্রত্যেকের মনে রাখতে হবে যে,
টেলিফোন শুধুমাত্র প্রয়োজনে ব্যবহার করতে হয়।
টয়লেট/গোসলখানা- প্রত্যেক গৃহে এক বা একাধিক টয়লেট থাকতে পারে। তবে সাধারণত দেখা যায়,
টয়লেটের সংখ্যার তুলনায় পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি থাকে। তাই টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রেও আমাদের
প্রয়োজন বুঝে, আগে-পরে ব্যবহার করতে হবে। যার ভোরে অফিসে বা স্কুল-কলেজে যেতে হয়, তাকে টয়লেট
ব্যবহারে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় যেন কেউ টয়লেট আটকিয়ে না রাখে, সেদিকে বিশেষ লক্ষ রাখতে হবে। নিয়মিত
টয়লেটের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। টয়লেটের মেঝে সব সময় শুকনা
রাখতে হবে, যাতে পিচ্ছিল না হয়ে যায়। নিয়মিত পরিষ্কারক ও জীবাণুনাশক দ্রব্য ব্যবহার করে টয়লেট
জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
কলতলা- একটি কল বাড়ির বিভিন্ন সদস্যের বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যবহার করতে হয়। যেমন- তৈজসপত্র,
কাপড়, শাকসবজি ইত্যাদি ধোয়া এবং রান্নার জন্য পানি নেওয়া ইত্যাদি। এমন ক্ষেত্রে সবাইকে সমঝোতার
মাধ্যমে কাজ করতে হবে। কলের ঠিক নিচে বসে কাজ না করে, প্রত্যেকে পানি নিয়ে আলাদা আলাদা
জায়গায় কাজ করলে কাজের সুবিধা হয়। অযথা কল ছেড়ে না রেখে কাজ শেষ করে ভালোভাবে কল বন্ধ
করতে হবে যাতে পানির অপচয় না হয়। কাজের সুবিধার জন্য কলতলা সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
কুয়ার পানি- গ্রামাঞ্চলে জায়গা বিশেষে কুয়া দেখা যায়। কুয়া থেকে সবাই যেন পানি নিতে পারে, সে সুবিধা
থাকতে হবে। অকারণে বালতি আটকে রেখে অন্যের বিরক্তির উদ্রেক করা ঠিক নয়। পানি তোলা শেষ হলে
বালতি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে কুয়া ঢেকে রাখতে হবে। কুয়ার চারদিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব
সকলের।
আঙিনা- বাড়িতে আস্তিনা থাকলে, অনেকে বিকালে এখানে এসে গল্প করে, বাগান করে। আঙিনা যেন
পরিষ্কার থাকে সে বিষয়ে বাড়ির সকলকেই যত্নবান হতে হয়। গাছের ঝরাপাতা, আগাছা, ঝোপঝাড় পরিষ্কার
করতে হবে। গৃহের ভিতরের মতো এর আভিনা পরিষ্কার রাখলে সবার শরীর ও মন ভালো থাকবে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
১. কোনটি মানবীয় সম্পদ ?
খ. পার্ক
ক. অর্থ
ঘ. গয়না
২. শক্তির অপচয় রোধ করা যায়-
1. স্বাধীনভাবে কাজ করলে
ii. সরঞ্জাম হাতের নাগালে রাখলে
450
iii. একই ধরনের কাজ পাশাপাশি করলে
গার্হস্থ্য বিজ্ঞান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও॥
গ. ii ও iii
ঘ.i, iiiii
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও
৮ম শ্রেণির ছাত্রী সুমিতা লেখাপড়ার পাশাপাশি পরিবারকে সাহায্য করার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন
ধরনের হাতের কাজ শেখে। নিজের তৈরি বিভিন্ন নকশা সামগ্রী ব্যবহার করে ঘরকে সাজায়।
৩. সুমিতার মাঝে কোন ধরনের সম্পদের প্রভাব দেখা যায়?
ক. অর্থ
খ. গৃহের সরঞ্জাম
গ. সদিচ্ছা
ঘ. প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান
৪. উক্ত সম্পদ ব্যবহারে পরিবারের কোন ধরনের প্রয়োজন মেটানো সম্ভব-
1. আর্থিক
i. সামাজিক
iii. শিক্ষামূলক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
গ. iis lil
খ. i ও iii
ঘ. i, iiiii
সৃজনশীল প্রশ্ন
১. রাশেদা ও সোনিয়া দুই বান্ধবী। দু'জনই গৃহের সদস্যদের চাহিদা পূরণে সচেতন। রাশেদা আয় অনুযায়ী
পরিবারের সদস্যদের চাহিদা মেটানোর জন্য পরিকল্পনা তৈরি করেন। পরিবারের আর্থিক কোনো সমস্যায়
রাশেদাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় না। অন্যদিকে সোনিয়াকে সদস্যদের চাহিদা মেটাতে
হিমশিম খেতে হয়। প্রায়ই মাসের শেষের দিকে তাকে পরিচিত একটি দোকান থেকে বাকিতে চাল
কিনতে হয়। হঠাৎ ২/৩ দিন আগে সোনিয়ার ছোট ছেলে অপু অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য রাশেদার কাছ
থেকে টাকা নিয়ে তিনি ছেলের চিকিৎসা করেন।
ক. কোন সম্পদ ছাড়া পরিবারের কোনো সিদ্ধান্তই কার্যকর করা সম্ভব নয়?
খ. মানবীয় সম্পদ কাকে বলে? বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকে সোনিয়ার এই পরিস্থিতির কারণ কী? ব্যাখ্যা কর।
মেঘ পরিবারের সদস্যদের চাহিদা পূরণে রাশেদা ও সোনিয়ার পরিকল্পনার তুলনামূলক আলোচনা কর।
২. শুভ ও নেলী দুই ভাইবোন। শুভ তার শোবার ঘরে বসে পড়ছে। আর নেলী বসার ঘরে বসে পড়াশোনা
করছে। বিষয়টি দেখে মা নেলীকে শুভর ঘরে পড়ার ব্যবস্থা করে দেন। বড় ঘরটিতে একটি মাত্র ফ্যান
থাকায় নেলী বাতাস পাচ্ছিল না। ফলে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই নেলী ঘেমে উঠে। শুভ বিষয়টি দেখে বোন
নেলীকে ফ্যানের বাতাস পাওয়া যায় এমন জায়গায় গিয়ে বসতে বলে।
ক. গৃহ সম্পদকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
. “শক্তির" যথাযথ ব্যবহার বলতে কী বোঝায়?
গ. শুভ ও নেলীকে একই ঘরে পড়তে দেওয়ার মাধ্যমে মা তার পরিবারের কোন সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার
নিশ্চিত করলেন- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. যৌথ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার শুভ ও নেলীর মধ্যে স্বার্থত্যাগের মানসিকতা গড়ে তুলতে সহায়ক-তুমি
কি এ বিষয়ে একমত? স্বপক্ষে যুক্তি দাও।
Read more